১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্থান নির্ধারন নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব

চিলমারীতে ৪ মাস ধরে স্থবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া বন্যায় চর শাখাহাতী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলিন হয়ে যায়। এসময় স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জায়গা নির্ধারন করা হলেও স্থানীয় অপর এক প্রভাবশালী ভিন্ন স্থানে স্কুলটি সরিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন। ফলে দুটি পক্ষের মানা না মানা নিয়ে গেলো ৪ মাস ধরে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে ১২৫ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে মোট ১২৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করান ৫ জন শিক্ষক। পড়ে বিদ্যালয়ের ৩টি টিন সেট ঘর সড়িয়ে নিয়ে পাশ্ববর্তী শাখাহাতী আরডিআরএস গ্রামে রাখা হয়। সেখানে ওই গ্রামের বাসিন্দারা স্কুল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু করেন। পরে স্থানীয় অপর এক প্রভাবশালী স্কুল স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা বলছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গওছল হক,তার ভাই জহুরুল ইসলাম এবং মশিউর রহমানের যোগসাজশে স্কুলটি তাদের পছন্দের জায়গায় করার পায়তারা করছেন। স্থান নির্ধারন নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে স্কুলটির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, আমি উলিপুরে চাকরি করি স্কুলের বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই মউিউর রহমান হচ্ছেন নাটেরগুরু! তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন আমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ৪লক্ষ খরচ করেছি,স্কুল আমার পছন্দের স্থানেই হবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজা মিয়া বলেন, টিও এটিও স্যাররা আসছিলো ওনারা জায়গা নিধারন করে গেছেন আমরা সে মোতাবেক জমিতে মাটি ফেলেছি আমরা চাই শাখাহাতিতেই যেন স্কুল হয়। অন্য খানে স্কুল হলে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে কষ্ট হবে। স্কুল নিয়ে চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল হক, তার ভাই জহুরুল ইসলাম এবং মশিউর রহমান মিলে তাদের এলাকায় স্কুলটি নিয়ে যাওয়ার জন্য পায়তারা করছেন। এবিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গয়ছল হক মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এখানে জড়িত নই। স্থানীয়রাই ভাল জানেন। চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ইউএনও স্যারকে বার বার বলছি, তারা এসেছিলেন। কিন্তু কেন তারা সিন্ধান্ত নিতে পারছেন না তা আমার জানা নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষ দুই স্থানে স্কুল চাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে। আমি স্থানীয়দেরকে বলবো তারা যেন উভয় পক্ষ বসে সমাধান করেন।এভাবে স্কুল চললে ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ায় বিঘ্ন ঘটবে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, সরেজমিনে গিয়েছিলাম। আগামাীকাল শিক্ষা কমিটির মিটিং আছে, সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।

‘জাতীয় কবি’ হিসেবে গেজেটভুক্ত হচ্ছে কাজী নজরুলের নাম

স্থান নির্ধারন নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব

চিলমারীতে ৪ মাস ধরে স্থবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান

প্রকাশিত ১১:২৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া বন্যায় চর শাখাহাতী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলিন হয়ে যায়। এসময় স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জায়গা নির্ধারন করা হলেও স্থানীয় অপর এক প্রভাবশালী ভিন্ন স্থানে স্কুলটি সরিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন। ফলে দুটি পক্ষের মানা না মানা নিয়ে গেলো ৪ মাস ধরে স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে ১২৫ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে মোট ১২৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করান ৫ জন শিক্ষক। পড়ে বিদ্যালয়ের ৩টি টিন সেট ঘর সড়িয়ে নিয়ে পাশ্ববর্তী শাখাহাতী আরডিআরএস গ্রামে রাখা হয়। সেখানে ওই গ্রামের বাসিন্দারা স্কুল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু করেন। পরে স্থানীয় অপর এক প্রভাবশালী স্কুল স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা বলছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গওছল হক,তার ভাই জহুরুল ইসলাম এবং মশিউর রহমানের যোগসাজশে স্কুলটি তাদের পছন্দের জায়গায় করার পায়তারা করছেন। স্থান নির্ধারন নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে স্কুলটির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, আমি উলিপুরে চাকরি করি স্কুলের বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই মউিউর রহমান হচ্ছেন নাটেরগুরু! তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন আমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ৪লক্ষ খরচ করেছি,স্কুল আমার পছন্দের স্থানেই হবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজা মিয়া বলেন, টিও এটিও স্যাররা আসছিলো ওনারা জায়গা নিধারন করে গেছেন আমরা সে মোতাবেক জমিতে মাটি ফেলেছি আমরা চাই শাখাহাতিতেই যেন স্কুল হয়। অন্য খানে স্কুল হলে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে কষ্ট হবে। স্কুল নিয়ে চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গয়ছল হক, তার ভাই জহুরুল ইসলাম এবং মশিউর রহমান মিলে তাদের এলাকায় স্কুলটি নিয়ে যাওয়ার জন্য পায়তারা করছেন। এবিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গয়ছল হক মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এখানে জড়িত নই। স্থানীয়রাই ভাল জানেন। চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ইউএনও স্যারকে বার বার বলছি, তারা এসেছিলেন। কিন্তু কেন তারা সিন্ধান্ত নিতে পারছেন না তা আমার জানা নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষ দুই স্থানে স্কুল চাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে। আমি স্থানীয়দেরকে বলবো তারা যেন উভয় পক্ষ বসে সমাধান করেন।এভাবে স্কুল চললে ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ায় বিঘ্ন ঘটবে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, সরেজমিনে গিয়েছিলাম। আগামাীকাল শিক্ষা কমিটির মিটিং আছে, সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।