সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭০০ জন এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৭০ জন ছাড়িয়েছে। এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন। অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে এ ইস্যুতে আমাদের আলোচনা চলছে।”
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডি আর কঙ্গোতে শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব। দেশটির মোট প্রদেশের সংখ্যা ২৬টি, জনসংখ্যা ১০ কোটি। এই ২৬ প্রদেশের মধ্যে দক্ষিণ কিভু, উত্তর কিভু, শোপো, একুয়াটিউর, উত্তর উবাঙ্গি, শুয়াপা, মঙ্গালা এবং সানকুরু প্রদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।
ইতোমধ্যে ডি আর কঙ্গোর প্রতিবেশী দেশ বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডাতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বিষয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, শরীরে হাত পায়ে ব্যথা ইত্যাদি মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক কিছু উপসর্গ। এছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। শরীরে ছোট ছোট অসংখ্যা ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে। ধীরে ধীরে সেই ক্ষত আরও গভীর হয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : এনডিটিভি।