০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেওমঞ্চে উঠতে পারেননি তাসরিফ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৬:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের। এজন্য খেসারতও দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে গায়ককে।


এবার তাসরিফকে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো। কনসার্ট আয়োজন করে মঞ্চে উঠতে দেয়া হলো না তার ব্যান্ডকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন গায়ক।
নিজের ফেসবুকে গায়ক লিখেছেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়।’
এরপর লেখেন, ‘কুড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি। মূলত এই কনসার্টের আয়োজক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শোয়ের আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১ টায়। ওনাদের জানানো সময় অনুয়ায়ী আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই।’
তাসরিফ লেখেন, ‘এসেই শুনি ওনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে ওঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না। এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটল।’
হতাশ তাসরিফ লিখেছেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানত না যে কুড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’
আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প নতুন নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্টের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শোয়ের পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’
এরপর শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে। আপনাদের অবগতির জন্য সম্মানের সাথে জানাতে চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’ এর আয়োজিত কোন কনসার্ট এ কুড়েঘর ব্যান্ড আর কখনো অংশগ্রহণ করবে না।’

যে কারণে ঐশ্বরিয়ার কেরিয়ার থেকে বাদ পড়ে একাধিক সফল হলিউডি ছবি
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের একজোড়া ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে। এক দিকে বলি অভিনেত্রী, অন্য দিকে বিশ্বসুন্দরী। বিয়ের পর বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূর তকমাও যোগ দিয়েছে। একসময় হিন্দি চলচ্চিত্রজগতকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। সফল হয়েছেন হলিউডেও। তবে কেরিয়ারের ঝুলি থেকে সফল ছবি বাদ দিতেও পিছপা হননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
ঐশ্বরিয়া কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস’, ‘দ্য লাস্ট লিজিয়ন’, ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২’-এর মতো একাধিক ইংরেজি ছবি। ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিস্ট্রেস অফ এভিল’ নামের একটি ছবিতে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নেপথ্যকণ্ঠও ছিলেন ঐশ্বর্যা। তবে কেন হলিউডের দুই সফল ছবিতে অভিনয় করলেন না তিনি? ২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসের্স স্মিথ’। এই ছবিতে ব্র্যাড পিটের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এই ছবিতে ব্র্যাডের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। ঐশ্বরিয়া প্রস্তাব খারিজ করলে অভিনয়ে রাজি হন অ্যাঞ্জেলিনা। বলিপাড়ার জনশ্রুতি, ঐশ্বরিয়া নাকি স্বেচ্ছায় ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয় করতে চাননি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ব্র্যাডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হতো ঐশ্বরিয়াকে।
ব্র্যাডের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে ইতস্তত বোধ করেছিলেন নায়িকা। তাই তিনি চিত্রনাট্যের খসড়া পড়ার পরেই ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হ্যানকক’। অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন উইল স্মিথ। স্মিথের বিপরীতে এই ছবিতে নাকি অভিনয় করার কথা ছিল ঐশ্বর্যার। বলি নায়িকা এই ছবির প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘হ্যানকক’-এর চিত্রনাট্য অনুযায়ী স্মিথকে ঘনিষ্ঠভাবে চুমু খেতে হতো ঐশ্বরিয়াকে। সেই সময় অভিনেত্রী তার কেরিয়ার গুছিয়ে নিচ্ছেন। কোনো হলি অভিনেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তির কথা জানান তিনি। ‘হ্যানকক’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া।
তার পর সেই চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন চার্লিজ় থেরন। ঐশ্বরিয়া তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। অথচ দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে। তবে স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ এক বার হারাননি ঐশ্বরিয়া। ‘হ্যানকক’-এর আগেও এক বার স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু অভিনেত্রীর ভাগ্যলিখন ছিল ভিন্ন।
২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হিচ’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। ‘হিচ’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় ঐশ্বরিয়াকে। বলিপাড়ার গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়াকে যখন ‘হিচ’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় তখন তিনি অন্য ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। হলিউডের এই ছবি শুটিংয়ের জন্য কিছুতেই সময় বার করতে পারেননি নায়িকা। ‘হিচ’ ছবির প্রস্তাব ঐশ্বরিয়া ফিরিয়ে দিলে নায়িকার ফিরিয়ে দেয়া চরিত্রে অভিনয় করেন হলি অভিনেত্রী ইভা মেন্ডেস। এই ছবিতে ইভার অভিনয় প্রশংসাও পায়।

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

যে কারণে ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেওমঞ্চে উঠতে পারেননি তাসরিফ

প্রকাশিত ০৬:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের। এজন্য খেসারতও দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে গায়ককে।


এবার তাসরিফকে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো। কনসার্ট আয়োজন করে মঞ্চে উঠতে দেয়া হলো না তার ব্যান্ডকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন গায়ক।
নিজের ফেসবুকে গায়ক লিখেছেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়।’
এরপর লেখেন, ‘কুড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি। মূলত এই কনসার্টের আয়োজক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শোয়ের আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১ টায়। ওনাদের জানানো সময় অনুয়ায়ী আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই।’
তাসরিফ লেখেন, ‘এসেই শুনি ওনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে ওঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না। এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটল।’
হতাশ তাসরিফ লিখেছেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানত না যে কুড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’
আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প নতুন নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্টের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শোয়ের পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’
এরপর শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লেখেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে। আপনাদের অবগতির জন্য সম্মানের সাথে জানাতে চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’ এর আয়োজিত কোন কনসার্ট এ কুড়েঘর ব্যান্ড আর কখনো অংশগ্রহণ করবে না।’

যে কারণে ঐশ্বরিয়ার কেরিয়ার থেকে বাদ পড়ে একাধিক সফল হলিউডি ছবি
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের একজোড়া ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে। এক দিকে বলি অভিনেত্রী, অন্য দিকে বিশ্বসুন্দরী। বিয়ের পর বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূর তকমাও যোগ দিয়েছে। একসময় হিন্দি চলচ্চিত্রজগতকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। সফল হয়েছেন হলিউডেও। তবে কেরিয়ারের ঝুলি থেকে সফল ছবি বাদ দিতেও পিছপা হননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
ঐশ্বরিয়া কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস’, ‘দ্য লাস্ট লিজিয়ন’, ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২’-এর মতো একাধিক ইংরেজি ছবি। ‘ম্যালেফিসেন্ট: মিস্ট্রেস অফ এভিল’ নামের একটি ছবিতে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নেপথ্যকণ্ঠও ছিলেন ঐশ্বর্যা। তবে কেন হলিউডের দুই সফল ছবিতে অভিনয় করলেন না তিনি? ২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসের্স স্মিথ’। এই ছবিতে ব্র্যাড পিটের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এই ছবিতে ব্র্যাডের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। ঐশ্বরিয়া প্রস্তাব খারিজ করলে অভিনয়ে রাজি হন অ্যাঞ্জেলিনা। বলিপাড়ার জনশ্রুতি, ঐশ্বরিয়া নাকি স্বেচ্ছায় ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয় করতে চাননি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ব্র্যাডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হতো ঐশ্বরিয়াকে।
ব্র্যাডের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে ইতস্তত বোধ করেছিলেন নায়িকা। তাই তিনি চিত্রনাট্যের খসড়া পড়ার পরেই ব্র্যাডের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ২০০৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হ্যানকক’। অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন উইল স্মিথ। স্মিথের বিপরীতে এই ছবিতে নাকি অভিনয় করার কথা ছিল ঐশ্বর্যার। বলি নায়িকা এই ছবির প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘হ্যানকক’-এর চিত্রনাট্য অনুযায়ী স্মিথকে ঘনিষ্ঠভাবে চুমু খেতে হতো ঐশ্বরিয়াকে। সেই সময় অভিনেত্রী তার কেরিয়ার গুছিয়ে নিচ্ছেন। কোনো হলি অভিনেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তির কথা জানান তিনি। ‘হ্যানকক’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া।
তার পর সেই চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন চার্লিজ় থেরন। ঐশ্বরিয়া তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাই হলিউডের পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দেন তিনি। অথচ দু’টি ছবিই মুক্তির পর বক্স অফিসে লক্ষ্ণীলাভ করে। তবে স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ এক বার হারাননি ঐশ্বরিয়া। ‘হ্যানকক’-এর আগেও এক বার স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু অভিনেত্রীর ভাগ্যলিখন ছিল ভিন্ন।
২০০৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হিচ’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। ‘হিচ’ ছবিতে স্মিথের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় ঐশ্বরিয়াকে। বলিপাড়ার গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়াকে যখন ‘হিচ’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় তখন তিনি অন্য ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। হলিউডের এই ছবি শুটিংয়ের জন্য কিছুতেই সময় বার করতে পারেননি নায়িকা। ‘হিচ’ ছবির প্রস্তাব ঐশ্বরিয়া ফিরিয়ে দিলে নায়িকার ফিরিয়ে দেয়া চরিত্রে অভিনয় করেন হলি অভিনেত্রী ইভা মেন্ডেস। এই ছবিতে ইভার অভিনয় প্রশংসাও পায়।