০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত রেলপথে সংস্কার কাজও শুরু হবে : রেলওয়ে ব্যবস্থাপক

কুড়িগ্রামের উলিপুর পর্যন্ত রেলপথের সংস্কার কাজ চলছে। চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত রেলপথে সংস্কার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। এর পর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রমনা স্টেশন পর্যন্ত আসবে। রোনা উপলক্ষে রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার সাড়ে ৪ বছর পর গতকাল সোমবার দুপুরে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা লোকাল ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করবে। রমনা লোকাল ট্রেন দিনে দুই বার চলাচল করবে। আর রাতে রংপুর এক্সপ্রেসের শার্টল ট্রেনটিও যাতে রমনা পর্যন্ত আসে সে ব্যাপারে কথা বার্তা চলছে। আশা করছি ৪টি ট্রেনই পাবে কুড়িগ্রামবাসি। রমনা স্টেশনে একটি নতুন স্টেশন বিল্ডিং, শেড, থাকার রুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান নলেজ, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আ. মতিন সরকার শিরিন, রেলওয়ের ডিসিও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জুনিয়র টিটিই আল আমিন, গার্ড মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।

এর আগে প্রায় সাড়ে ৪বছর পর চিলমারীবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুপুর ১টায় কাঙ্খিত রমনা বাজার লোকাল ট্রেনটির সুসজ্জিত ইঞ্জিনে মাইক বাজিয়ে রমনা বাজার স্টেশনে পৌছলে এলাকাবাসী উল্লাসে ফেটে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিনে মাইকে হাকাও গাড়ী তুই চিলমারী বন্দরে গান বাজিয়ে আসাটি যেন ব্যাতিক্রমি এক অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি এই রেল পথে চলাচলকারী একমাত্র রমনা বাজার লোকাল ট্রেনটিও বন্ধ করা হয়।

পরে দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও লোকোমাস্টার, ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং জনবল সংকটে এই রেলপথে দীর্ঘ সাড়ে ৪বছর ধরে পার্বতীপুর-রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ ছিল।তবে ২০২২ সালের ১ মার্চ তারিখে রমনা লোকাল ট্রেনটির পরিবর্তে চিলমারী কমিউটার নামে একটি ট্রেন চালু করা হয়। কিন্তু ট্রেনটি সুবিধাজনক সময়ে না পৌঁছানো ও তিস্তা বা কাউনিয়া জংশনে অন্যান্য ট্রেনের সাথে সংযোগ না পাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রেনটি জনপ্রিয় হতে পারেনি।

চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত রেলপথে সংস্কার কাজও শুরু হবে : রেলওয়ে ব্যবস্থাপক

প্রকাশিত ০২:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুর পর্যন্ত রেলপথের সংস্কার কাজ চলছে। চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত রেলপথে সংস্কার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। এর পর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি রমনা স্টেশন পর্যন্ত আসবে। রোনা উপলক্ষে রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার সাড়ে ৪ বছর পর গতকাল সোমবার দুপুরে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা লোকাল ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করবে। রমনা লোকাল ট্রেন দিনে দুই বার চলাচল করবে। আর রাতে রংপুর এক্সপ্রেসের শার্টল ট্রেনটিও যাতে রমনা পর্যন্ত আসে সে ব্যাপারে কথা বার্তা চলছে। আশা করছি ৪টি ট্রেনই পাবে কুড়িগ্রামবাসি। রমনা স্টেশনে একটি নতুন স্টেশন বিল্ডিং, শেড, থাকার রুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান নলেজ, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আ. মতিন সরকার শিরিন, রেলওয়ের ডিসিও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জুনিয়র টিটিই আল আমিন, গার্ড মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।

এর আগে প্রায় সাড়ে ৪বছর পর চিলমারীবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুপুর ১টায় কাঙ্খিত রমনা বাজার লোকাল ট্রেনটির সুসজ্জিত ইঞ্জিনে মাইক বাজিয়ে রমনা বাজার স্টেশনে পৌছলে এলাকাবাসী উল্লাসে ফেটে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিনে মাইকে হাকাও গাড়ী তুই চিলমারী বন্দরে গান বাজিয়ে আসাটি যেন ব্যাতিক্রমি এক অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি এই রেল পথে চলাচলকারী একমাত্র রমনা বাজার লোকাল ট্রেনটিও বন্ধ করা হয়।

পরে দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও লোকোমাস্টার, ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং জনবল সংকটে এই রেলপথে দীর্ঘ সাড়ে ৪বছর ধরে পার্বতীপুর-রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ ছিল।তবে ২০২২ সালের ১ মার্চ তারিখে রমনা লোকাল ট্রেনটির পরিবর্তে চিলমারী কমিউটার নামে একটি ট্রেন চালু করা হয়। কিন্তু ট্রেনটি সুবিধাজনক সময়ে না পৌঁছানো ও তিস্তা বা কাউনিয়া জংশনে অন্যান্য ট্রেনের সাথে সংযোগ না পাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রেনটি জনপ্রিয় হতে পারেনি।