০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তাপমাত্রা আটের ঘরে

পঞ্চগড়ে টানা ৬ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

দেশের সর্ব উত্তরের শীত প্রবণ হিমালয় কন্যা খ্যাত সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে পৌষের শুরুতেই শীত জেঁকে বসেছে।

গত ৬ দিন ধরে এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিম শীতল বাতাসে শীত জেঁকে বসায় কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে খেতে খাওয়া কর্মজীবিরা বেশী বিপাকে পড়েছে। তীব্র শীতে কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছে তারা। বেড়েছে শীতজনিত রোগী ব্যাধি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা জ্বর,শর্দি,কাশি,নিউমোনিয়া সহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতে গৃহপালিত পশুগুলোর অবস্থাও জবুথবু। দিনের বেলা কুয়াশার দাপট কমে আসলেও বিকাল থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সমগ্র এলাকা। দিনের বেলা সুর্যের দেখা মিললেও হিমালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। শীত কাতর মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী জানান,সরকারি ভাবে ইতিমধ্যে ৩ হাজার শীর্তাত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরো শীতবস্ত্রের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ৬ দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরো কমে যাবে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোন দেশে কয়টি ম্যাচ হবে ?

তাপমাত্রা আটের ঘরে

পঞ্চগড়ে টানা ৬ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত ১০:০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের সর্ব উত্তরের শীত প্রবণ হিমালয় কন্যা খ্যাত সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে পৌষের শুরুতেই শীত জেঁকে বসেছে।

গত ৬ দিন ধরে এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিম শীতল বাতাসে শীত জেঁকে বসায় কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে খেতে খাওয়া কর্মজীবিরা বেশী বিপাকে পড়েছে। তীব্র শীতে কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছে তারা। বেড়েছে শীতজনিত রোগী ব্যাধি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা জ্বর,শর্দি,কাশি,নিউমোনিয়া সহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতে গৃহপালিত পশুগুলোর অবস্থাও জবুথবু। দিনের বেলা কুয়াশার দাপট কমে আসলেও বিকাল থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ে সমগ্র এলাকা। দিনের বেলা সুর্যের দেখা মিললেও হিমালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। শীত কাতর মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী জানান,সরকারি ভাবে ইতিমধ্যে ৩ হাজার শীর্তাত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরো শীতবস্ত্রের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ৬ দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরো কমে যাবে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।