০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা, বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে যা বললেন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৪:৫৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১ বার পড়া হয়েছে

গত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আগে বাংলাদেশ থেকে একটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব যায় ওপার বাংলার নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এতে রাজি হইনি। এ নিয়ে নির্মাতা রাশিদ পলাশের সঙ্গে যোগাযোগও হয় ঋতুপর্ণার। কিন্তু নির্মাতা জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, নিরাপত্তা ইস্যু তুলে ঋতুপর্ণাকে ছবি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে, পরিবর্তে রাখা হয়েছে টালিউডের শ্রীলেখা মিত্রকে। এবার সে কথার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী।

জুলাই মাসে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। ছবির নাম ‘তরী’। ছবিটির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজও শুরু। সেক্ষেত্রে ঋতুপর্ণার সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথাও হয় নির্মাতা পলাশের। কিন্তু ঋতুপর্ণা বলছেন, তাকে সরিয়ে শ্রীলেখাকে নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। ঋতুপর্ণার মতে, তিনি বাদ পড়তে পারেন না। কারণ তিনি যে ছবিতে কাজ করবেন- এমন সিদ্ধান্তেই কখনো পৌঁছাননি। পাশাপাশি তিনি চিত্রনাট্যে কিছু বদল চেয়েছিলেন। যার ফলে কোনো চুক্তিই হয়নি।

সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যম টিভি নাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এই ছবির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু আমি কিছু ফাইনাল করিনি। চিত্রনাট্যে আমি কিছু পরিবর্তন চেয়েছিলাম, আমাকে আবারো নতুন করে স্ক্রিপ্ট পাঠানোর কথা ছিল। যেটা ওরা কেউ পাঠাননি। আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, চিত্রনাট্য সঠিক না হলে, আমি কোনো মতেই কাজ করার জায়গায় থাকব না। তাই আমার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি; আমি ছবিটার জন্য রাজি হইনি কখনোই। তাই নেয়া বা বাদ দেয়া, দুই প্রসঙ্গই উঠতে পারে না।’

ঋতুপর্ণা জানান, খুব বিশ্বাসযোগ্য এক সূত্র থেকে তিনি এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন। পরিচালক রাশিদ পলাশও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যা যা গল্প বানানো হচ্ছে, সেগুলো আমার অজানা। এমন করে কোনো অভিনেতাদের নাম করে পাবলিসিটি করার বিষয়টা আমার সত্যি জানা নেই। যথাযথ নিরাপত্তা না থাকার কারণে আমাকে নিয়ে শ্যুট করতে পারবে না, সেটা আলাদা বিষয়। তবে ওরা যেভাবে বিষয়টাকে সামনে আনছেন সেটা একেবারেই সঠিক নয়।’
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্রকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে যা পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে, এমন সময়ে বাংলাদেশে কাজ করতে যেতে ভয় হচ্ছে কি না? উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, যেখানে ‘পশ্চিমবাংলায় এতকিছু ঘটছে, সেখানে তো বেঁচে আছি, কাজ করছি। তাহলে ওদিকে কেন নয়?’
ঋতুপর্ণা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানতাম না ঋতুপর্ণার বিষয়টা। ওরা আমার সঙ্গে সিনেমার ব্যাপারে সেপ্টেম্বরের আগে যোগাযোগ করে। তখন কিছু ইস্যু হয়ে যাওয়ায়, আমার আর কাজটা করা হয়নি। পরে গল্পটা শুনে ভালো লেগেছিল। তারপর ওরা আমার সঙ্গে আলোচনা করল, কীভাবে কাজটা করা যায়। এভাবেই সম্পর্কটা তৈরি হলো।’
অপরদিকে এই সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা রাশিদ পলাশ জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণাকে বাদ দেয়া দেশের সংস্কারের অংশ। অভিনেত্রীর সঙ্গে চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই অভিনেত্রীকে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা, বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে যা বললেন

প্রকাশিত ০৪:৫৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

গত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আগে বাংলাদেশ থেকে একটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব যায় ওপার বাংলার নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এতে রাজি হইনি। এ নিয়ে নির্মাতা রাশিদ পলাশের সঙ্গে যোগাযোগও হয় ঋতুপর্ণার। কিন্তু নির্মাতা জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, নিরাপত্তা ইস্যু তুলে ঋতুপর্ণাকে ছবি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে, পরিবর্তে রাখা হয়েছে টালিউডের শ্রীলেখা মিত্রকে। এবার সে কথার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী।

জুলাই মাসে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। ছবির নাম ‘তরী’। ছবিটির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজও শুরু। সেক্ষেত্রে ঋতুপর্ণার সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথাও হয় নির্মাতা পলাশের। কিন্তু ঋতুপর্ণা বলছেন, তাকে সরিয়ে শ্রীলেখাকে নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। ঋতুপর্ণার মতে, তিনি বাদ পড়তে পারেন না। কারণ তিনি যে ছবিতে কাজ করবেন- এমন সিদ্ধান্তেই কখনো পৌঁছাননি। পাশাপাশি তিনি চিত্রনাট্যে কিছু বদল চেয়েছিলেন। যার ফলে কোনো চুক্তিই হয়নি।

সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যম টিভি নাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এই ছবির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু আমি কিছু ফাইনাল করিনি। চিত্রনাট্যে আমি কিছু পরিবর্তন চেয়েছিলাম, আমাকে আবারো নতুন করে স্ক্রিপ্ট পাঠানোর কথা ছিল। যেটা ওরা কেউ পাঠাননি। আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, চিত্রনাট্য সঠিক না হলে, আমি কোনো মতেই কাজ করার জায়গায় থাকব না। তাই আমার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি; আমি ছবিটার জন্য রাজি হইনি কখনোই। তাই নেয়া বা বাদ দেয়া, দুই প্রসঙ্গই উঠতে পারে না।’

ঋতুপর্ণা জানান, খুব বিশ্বাসযোগ্য এক সূত্র থেকে তিনি এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন। পরিচালক রাশিদ পলাশও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘যা যা গল্প বানানো হচ্ছে, সেগুলো আমার অজানা। এমন করে কোনো অভিনেতাদের নাম করে পাবলিসিটি করার বিষয়টা আমার সত্যি জানা নেই। যথাযথ নিরাপত্তা না থাকার কারণে আমাকে নিয়ে শ্যুট করতে পারবে না, সেটা আলাদা বিষয়। তবে ওরা যেভাবে বিষয়টাকে সামনে আনছেন সেটা একেবারেই সঠিক নয়।’
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্রকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে যা পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে, এমন সময়ে বাংলাদেশে কাজ করতে যেতে ভয় হচ্ছে কি না? উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, যেখানে ‘পশ্চিমবাংলায় এতকিছু ঘটছে, সেখানে তো বেঁচে আছি, কাজ করছি। তাহলে ওদিকে কেন নয়?’
ঋতুপর্ণা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানতাম না ঋতুপর্ণার বিষয়টা। ওরা আমার সঙ্গে সিনেমার ব্যাপারে সেপ্টেম্বরের আগে যোগাযোগ করে। তখন কিছু ইস্যু হয়ে যাওয়ায়, আমার আর কাজটা করা হয়নি। পরে গল্পটা শুনে ভালো লেগেছিল। তারপর ওরা আমার সঙ্গে আলোচনা করল, কীভাবে কাজটা করা যায়। এভাবেই সম্পর্কটা তৈরি হলো।’
অপরদিকে এই সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা রাশিদ পলাশ জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণাকে বাদ দেয়া দেশের সংস্কারের অংশ। অভিনেত্রীর সঙ্গে চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই অভিনেত্রীকে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।