সৈয়দপুরে পৃথক দূর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে মাটি বোঝাই ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু আব্দুল্লাহ (৬) ও দ্রুতগামী পিকআপের ধাক্কায় প্লাইউড কারখানার শ্রমিক শামসুল (৬৫) নিহত হন।
বুধবার সকালে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কালার ভিটার লংকা পাড়া ও কামারপুকুর ইউনিয়নের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ধলাগাছ নামক এলাকায় দূর্ঘটনা দুটি ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ উভয়ের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক ইউডি মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে কালার ভিটার লংকাপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে খেলা করছিল ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেল ইসলাম ও রিমা খাতুন দম্পতির একমাত্র শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ (৬)। এ সময় ট্রলি চালক জমিতে মাটি ফেলে রাস্তায় উঠার সময় পিছনে থাকা শিশু আব্দুল্লাহকে চাপায় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতের চাচা রুয়েল ইসলাম (২৭) সহ স্থানীয় লোকজন সাথে সাথে শিশু আব্দুল্লাহকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। পরে নিহত আব্দুল্লাহর পিতা সোহেল ইসলাম ও মা রিমা খাতুনসহ পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মোস্তফা হোসেন সহ পরিবারের উপস্থিতিতে আইনী প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ তাঁর মা ও বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরআগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দপুরে নৈশকালীন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপের ধাক্কায় শামসুল হক (৬৫) নামের এক প্লাইউড কারখানার শ্রমিক নিহত হন।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামসুল হক সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ এলাকার মৃত শফিউদ্দিনের পুত্র। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শামসুল হক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার আহমদ প্লাইউড কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত কারখানায় কাজ শেষে সকালে বাইসাইকেল চালিয়ে তিনি শহরের বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পিছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি পিকআপ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও কারখানার শ্রমিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে পুলিশ নিহত শামসুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে উভয়ের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় পমথক দুটি ইউডি মামলা হয়েছে।