টানা চার দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের এই জেলায় দিন দিন নামছে তাপমাত্রার পারদ।
গতকাল শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আকাশে মেঘ না থাকায় কুয়াশা কমে আসায় দিনের বেলায় রোদের দেখা মিলেছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেক কম। ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে পঞ্চগড়ে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জেলায় শুরু হয় শীতের আগমন। বর্তমানে দিনভর ঝলমলে রোদ থাকলেও শীতল বাতাসের ক্রাণে দিনেও ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বিকেলের পর থেকে পুরো শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই পঞ্চগড়ের বাসিন্দাদের গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের গরম কাপড়। এমনকি রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লেপ,কাঁথা ও কম্বল মুড়িয়ে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পঞ্চগড়ে কুয়াশার ঝড়ার পরিমাণ কমলেও বেড়েছে উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রবাহ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, টানা চার দিন ধরে পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে কোনো কুয়াশা নেই। আকাশও মেঘমুক্ত।
কুয়াশা কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস সহজেই এই জেলায় প্রবেশ করায় তাপমাত্রা দিন দিন কমছে। তবে দিনের বেলা রোদ থাকায় মানুষের মধ্যে দূর্ভোগ নেই। এগিকে শীথ জণিত নানা রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শীত জণিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
বোদা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি 









