নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম. আর সাঈদ বলেন, ‘আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে এর আগে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আজকের মামলার কাগজ এখনও আমাদের কাছে আসেনি।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নীলফামারী সদর আমলী আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে সবশেষ এই মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি এলাকার মৃত সিদ্দিক আলীর ছেলে মো. লিটন রহমান। এই মামলায় আসামি হিসেবে নূরসহ ২০২জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সহ-সভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম শাহ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
মামলার বরাত দিয়ে বাদীর আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী বলেন, ‘২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী লক্ষ্মীচাপের কাছারি বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে লুটপাট চালায়। দুদিন পর ১৪ ডিসেম্বর উল্লিখিত আসইমরা আবারও ওই বাজারে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সরকার বিরোধীদের হুমকি দেন। বাজার থেকে ফেরার পথে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী।
‘রামগঞ্জ বাজারে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। এ সময় বাদী লিটন রহমানের বাবা সিদ্দিক আলী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে ছুটে এলে আসাদুজ্জামান নূর দ্রুত তার গাড়ি দিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, ‘আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে এর আগে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আজকের মামলার কাগজ এখনও আমাদের কাছে আসেনি।’