১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরাঞ্চলবাসীর ভরসা ঘোড়ার গাড়ি!

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি।

প্রমত্তা তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে এখন ধু-ধু বালুর চর। এসময় চরাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে যাতায়াত ও কৃষি পণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আগে শুষ্ক মৌসুমে কেউ অসুস্থ্য হলেও পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। তবে এখন বিকল্প হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা। বর্তমানে চরাঞ্চলের উৎপাদিত ফসল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমিয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। এক ঘোড়া দিয়ে ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব গাড়ি। চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে অনায়াসে চরের বালুর উপর দিয়ে ঘোড়ার গাড়িগুলো দিব্যি চলতে পারে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ কৃষি পণ্য পরিবহন করা যায়। চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়ার গাড়িতেই বালু চর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করছে। ঘোড়া গাড়ির চালক আজাহার আলী বলেন, চরাঞ্চলে পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ঘোড়া মালামাল টানায় যথেষ্ট পারদর্শী। ঘোড়াগুলো সাচ্ছন্দে বালুতে চলতে পারে। এসব ঘোড়ার দামও বেশি নয়। মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় একটি ঘোড়া পাওয়া যায়। ঘোড়া গাড়ির চালক আব্দুল আউয়াল বলেন, গড়ে প্রতিদিন একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। বর্তমানে চরাঞ্চলে আবাদকৃত ধান পরিবহন হচ্ছে বেশী। এতে আয়ও বেশ ভালই হচ্ছে। তবে বর্ষাকালে নৌকা চলে বলে তাদের আয় কমে যায়। জানতে চাইলে ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বালুচরে রাস্তাঘাট পাকা করলে তো টিকবে না। তাই ঘোড়ার গাড়ীই তাদের একমাত্র ভরসা।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ

চরাঞ্চলবাসীর ভরসা ঘোড়ার গাড়ি!

প্রকাশিত ০৬:৫৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি।

প্রমত্তা তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে এখন ধু-ধু বালুর চর। এসময় চরাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে যাতায়াত ও কৃষি পণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আগে শুষ্ক মৌসুমে কেউ অসুস্থ্য হলেও পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। তবে এখন বিকল্প হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা। বর্তমানে চরাঞ্চলের উৎপাদিত ফসল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমিয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। এক ঘোড়া দিয়ে ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব গাড়ি। চরাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে অনায়াসে চরের বালুর উপর দিয়ে ঘোড়ার গাড়িগুলো দিব্যি চলতে পারে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ কৃষি পণ্য পরিবহন করা যায়। চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়ার গাড়িতেই বালু চর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করছে। ঘোড়া গাড়ির চালক আজাহার আলী বলেন, চরাঞ্চলে পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ঘোড়া মালামাল টানায় যথেষ্ট পারদর্শী। ঘোড়াগুলো সাচ্ছন্দে বালুতে চলতে পারে। এসব ঘোড়ার দামও বেশি নয়। মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় একটি ঘোড়া পাওয়া যায়। ঘোড়া গাড়ির চালক আব্দুল আউয়াল বলেন, গড়ে প্রতিদিন একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। বর্তমানে চরাঞ্চলে আবাদকৃত ধান পরিবহন হচ্ছে বেশী। এতে আয়ও বেশ ভালই হচ্ছে। তবে বর্ষাকালে নৌকা চলে বলে তাদের আয় কমে যায়। জানতে চাইলে ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বালুচরে রাস্তাঘাট পাকা করলে তো টিকবে না। তাই ঘোড়ার গাড়ীই তাদের একমাত্র ভরসা।